জানা গেছে, তার কোন ইন্টারনাল ইনজুরি নেই। তবে ক্ষতস্থানে একাধিক সেলাই পড়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের টিম ফিজিও এসএম জাহিদুল ইসলাম সজল।
রোববার দুপুর সোয়া একটার দিকে দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও জানানো হয়, তার আঘাতের ক্ষত মাথার বেশি গভীরে যায়নি। মাথায় রক্ত জমাটও বাধেনি। মোস্তাফিজকে প্রাথমিকভাবে কয়েক ঘণ্টা নিবিড় তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অবস্থার উন্নতি হলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে। আর উন্নতি না হলে আরও কিছুক্ষণ ভর্তি রাখা হবে।
চিকিৎসকরা আশা করছেন, আগামী ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে তার ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। সম্ভবত বিপিএলের গ্রুপ পর্বে কুমিল্লার হয়ে বাকি ম্যাচগুলো খেলা হচ্ছে না এই পেসারের। নকআউট পর্বের ম্যাচ খেলতে পারবেন কিনা, সেটিও অনিশ্চিত।
কুমিল্লার ফিজিওর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুশীলনের সময় একটি বল সরাসরি মুস্তাফিজুর রহমানের মাথার বাম প্যারিটাল এলাকায় আঘাত করে। তারা রক্তপাত বন্ধ করার জন্য কম্প্রেশন ব্যান্ডেজ দেন। এরপর তাকে দ্রুত চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে মোস্তাফিজের সিটিস্ক্যান করানো হয়।
ফিজিও আরও জানান, সিটিস্ক্যান করার পর তারা সন্তুষ্ট যে, মোস্তাফিজ শুধুমাত্র বাহ্যিক আঘাত পেয়েছেন। কোনো ইন্ট্রা-ক্র্যানিয়াল রক্তপাত ছিল না।
মাথায় চোট নিয়ে হাসপাতালে মুস্তাফিজমাথায় চোট নিয়ে হাসপাতালে মুস্তাফিজ
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নেটে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস দল অনুশীলন করছিল। মোস্তাফিজ নেটে বোলিং করার সময়ই মাথায় আঘাত পান। তিনি বল করে রান আপ নিতে ফিরছিলেন। এসময় উইন্ডিজ ক্রিকেটার ম্যাথু ফোর্ডের হাকানো বল আঘাত করে মোস্তাফিজের মাথার বাঁ দিকে। এতে মাঠেই বসে পড়েন তিনি। এরপর দ্রুতই অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।