সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চটকদার চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে বিদেশে নারী পাচার করছে একটি চক্র। পাচার হওয়ার পর দুর্বিসহ জীবন থেকে ফিরে এসে একাত্তরের কাছে এরকম অভিযোগ করেছেন কয়েকজন নারী। তাদের কথায় উঠে এসেছে ভয়াবহ সব নির্যাতনের গল্প। পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, দরিদ্র জনগোষ্ঠী লক্ষ্য করেই পাচারের ফাঁদ পাতে ওই চক্র।
ঢাকার পাশের জেলার এক নারীর স্বপ্ন ছিলো চাকুরি করে সংসারে হাল ধরা। গেলো বছর এক বান্ধবী চাকরি দেবার কথা বলে প্রথমে তাকে যশোরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে কোলকাতা। তারপর হায়দারাবাদের নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করে দেয় সেই নারীকে।
পরের গল্প আরো মর্মান্তিক। হায়দারাবাদের সেই পল্লীতে তার সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই ছেলেটি তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবার কথা বলে দিল্লিতে বিক্রি করে দেয়। সেখান থেকে পালিয়ে কোলকাতায় চলে আসে মেয়েটি। এবার সে পড়ে বখাটেদের খপ্পরে। কলকাতা পুলিশ তাকে আটক করে পাঠিয়ে দেয় একটি আশ্রয় কেন্দ্র।
এরিমধ্যে পাচার হওয়া এই নারীর খবর পায় অ্যামেমেচার রেডিও সংগঠনের সদস্যরা। তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় সংগঠনটির নেতা শামছুল হুদা প্রথমে ওই নারীর মায়ের বাংলাদেশের ঠিকানা বের করেন। তারপর তিনি চলে যান কলকাতার সেই আশ্রয় কেন্দ্রে। দীর্ঘদিন পর ভিডিও কলে দেখা হয় মা ও মেয়ের। এ সময় তৈরি হয় এক হৃদয়স্পর্ষী পরিবেশের।
এবার এক মায়ের গল্প। কোন যোগ্যতা ছাড়াই বিদেশে ভালো চাকুরি দেয়া হবে। ফেসবুকে এমন বিজ্ঞাপনই কাল হলো। যারাই সেই বিজ্ঞাপনের সাড়া দেন তাদেরই চাকরির লোভ দেখায় পাচারকারীরা। ডিবি পুলিশ ভুক্তোভুগি নারীসহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করলেও এরিমধ্যে পাচার হয়ে গেছেন অনেকে।
এছাড়া কিছুদিন আগেই রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে দুই কিশোরী নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে নেমে একটি চক্রের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। ফেসবুকে 'সহজে বিদেশে চাকরি'র প্রলোভনের ফাঁদ পাতে নারী ও শিশুপাচার করতো চক্রটি।
গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ভারতীয় সীমান্তের জিরোপয়েন্টের গ্রাম কেরাগাছি এলাকার আব্দুল হামিদের দু'ছেলের নেতৃত্বে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কমবয়সী নারী ও শিশুকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্ত দিয়ে পাচার করে আসছিল। চক্রের মাস্টারমাইন্ড আনারুল।
বিয়ে-চাকরি ও টিকটকের ফাঁদে ফেলে নারী পাচারবিয়ে-চাকরি ও টিকটকের ফাঁদে ফেলে নারী পাচার
নারী পাচার বাংলাদেশে ব্যাধির মত ছড়িয়ে পড়ছে। এতে যোগসাজশ রয়েছে দেশ-বিদেশের চক্র। গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দেশি-বিদেশি নারীপাচার চক্রগুলো বেশ শক্তিশালী। তাই সবাই সচেতন না হলে এমন জঘন্য কারবার প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
ঢাকার পাশের জেলার এক নারীর স্বপ্ন ছিলো চাকুরি করে সংসারে হাল ধরা। গেলো বছর এক বান্ধবী চাকরি দেবার কথা বলে প্রথমে তাকে যশোরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে কোলকাতা। তারপর হায়দারাবাদের নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করে দেয় সেই নারীকে।
পরের গল্প আরো মর্মান্তিক। হায়দারাবাদের সেই পল্লীতে তার সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই ছেলেটি তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবার কথা বলে দিল্লিতে বিক্রি করে দেয়। সেখান থেকে পালিয়ে কোলকাতায় চলে আসে মেয়েটি। এবার সে পড়ে বখাটেদের খপ্পরে। কলকাতা পুলিশ তাকে আটক করে পাঠিয়ে দেয় একটি আশ্রয় কেন্দ্র।
এরিমধ্যে পাচার হওয়া এই নারীর খবর পায় অ্যামেমেচার রেডিও সংগঠনের সদস্যরা। তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় সংগঠনটির নেতা শামছুল হুদা প্রথমে ওই নারীর মায়ের বাংলাদেশের ঠিকানা বের করেন। তারপর তিনি চলে যান কলকাতার সেই আশ্রয় কেন্দ্রে। দীর্ঘদিন পর ভিডিও কলে দেখা হয় মা ও মেয়ের। এ সময় তৈরি হয় এক হৃদয়স্পর্ষী পরিবেশের।
এবার এক মায়ের গল্প। কোন যোগ্যতা ছাড়াই বিদেশে ভালো চাকুরি দেয়া হবে। ফেসবুকে এমন বিজ্ঞাপনই কাল হলো। যারাই সেই বিজ্ঞাপনের সাড়া দেন তাদেরই চাকরির লোভ দেখায় পাচারকারীরা। ডিবি পুলিশ ভুক্তোভুগি নারীসহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করলেও এরিমধ্যে পাচার হয়ে গেছেন অনেকে।
এছাড়া কিছুদিন আগেই রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে দুই কিশোরী নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে নেমে একটি চক্রের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। ফেসবুকে 'সহজে বিদেশে চাকরি'র প্রলোভনের ফাঁদ পাতে নারী ও শিশুপাচার করতো চক্রটি।
গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ভারতীয় সীমান্তের জিরোপয়েন্টের গ্রাম কেরাগাছি এলাকার আব্দুল হামিদের দু'ছেলের নেতৃত্বে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কমবয়সী নারী ও শিশুকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্ত দিয়ে পাচার করে আসছিল। চক্রের মাস্টারমাইন্ড আনারুল।
বিয়ে-চাকরি ও টিকটকের ফাঁদে ফেলে নারী পাচারবিয়ে-চাকরি ও টিকটকের ফাঁদে ফেলে নারী পাচার
নারী পাচার বাংলাদেশে ব্যাধির মত ছড়িয়ে পড়ছে। এতে যোগসাজশ রয়েছে দেশ-বিদেশের চক্র। গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দেশি-বিদেশি নারীপাচার চক্রগুলো বেশ শক্তিশালী। তাই সবাই সচেতন না হলে এমন জঘন্য কারবার প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।