ম্যাচের তখন ১১তম ওভারের খেলা চলছে। তাইজুল ইসলামের ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলটি লং অফের দিকে সজোরে হাঁকিয়েছিলেন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা অভিষ্কা ফান্দার্নো। ঠিকঠাক ব্যাটে-বলে না হওয়ায় ক্যাচ আউটের সুযোগ পায় ফরচুন বরিশাল। তখন ২৭ বলে ৩০ রানে ব্যাট করছিলেন লঙ্কান ব্যাটসম্যান। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে দাঁড়ানো আহমেদের শেহজাদের হাত ফসকে ক্যাচ বেরিয়ে গেলে সে যাত্রায় বেঁচে যান অভিষ্কা।
পাকিস্তানি ফিল্ডারের ক্যাচ মিসের চড়া মূল্য দিতে হয়েছে বরিশালকে। জীবন পেয়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যান আরও বেশি ভয়ংকর হয়েছে। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত আর কোনো সুযোগ না দিয়ে ৫০ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন। এর সঙ্গে শেষ দিকে কুর্তিস ক্যাম্ফারের ৯ বলে ২৯ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৯৩ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
অথচ শুরুর দিকে ম্যাচের চিত্র ছিল পুরোই উল্টো। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ৫ বলে ১২ রান করে ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ভেল্লাগের হাতে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরত যান তিনি।
ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারও উইকেটের দেখা পান তাইজুল। এবার সরাসরি বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান ইমরানউজ্জানকে (৮ বলে ৪ রান)। মাত্র ২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম।
সাগরপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিপদে ঢাল হয়ে দাঁড়ান আরেক ওপেনার অভিষ্কা। তৃতীয় উইকেটে এবারের বিপিএলে চমক শাহাদাত হোসেন দীপুকে নিয়ে গড়েন ৭০ রানের জুটি। এর মধ্যে প্রথম ১০ ওভার শেষে চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ডে ছিল ৭৬ রান।
ahmed shehzad৩০ রানে ব্যাট করা অভিষ্কা ফার্নান্দোর ক্যাচ ছেড়েছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ। এর চড়া মূল্য দিতে হয়েছে বরিশালকে। ছবি: বিসিবির সৌজন্যে
দলীয় ৯১ রানে দীপুকে (২৯ বলে ৩১ রান) বোল্ড আউট করেন ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। আফগান ব্যাটসম্যান নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে আবারও জুটি গড়েন অভিষ্কা। দুজনে মিলে ৩৮ বলে ৬৮ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। ইনিংসের ১৯তম ওভারের প্রথম বলে কামরুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন জাদরান (১৯ বলে ১৮ রান)।
উইকেটের অপরপ্রান্তে ৪৮ বলে ৮৬ রানে ব্যাট করছিলেন অভিষ্কা। লঙ্কান ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি তখন সময়ের ব্যাপার বলে ধরে নেওয়া হচ্ছিলো। কিন্তু উইকেটে নতুন আসা ক্যাম্ফার অভিষ্কাকে আর কোনো সুযোগ না দিয়ে শেষদিকে সব আলো নিজের দিকে টেনে নেন। মাত্র ৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে ফার্নান্দোকে সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। লঙ্কান ব্যাটসম্যানের ৫০ বলে ৯১ রানের ইনিংসি ৫ চার ও ৭ ছক্কায় সাজানো।
বরিশালের বোলারদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন তাইজুল। তিনি ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ২ উইকেট আদায় করেছেন। বাকি দুইটি উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন কামরুল ইসলাম ও ক্যারিয়াহ।
পাকিস্তানি ফিল্ডারের ক্যাচ মিসের চড়া মূল্য দিতে হয়েছে বরিশালকে। জীবন পেয়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যান আরও বেশি ভয়ংকর হয়েছে। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত আর কোনো সুযোগ না দিয়ে ৫০ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন। এর সঙ্গে শেষ দিকে কুর্তিস ক্যাম্ফারের ৯ বলে ২৯ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৯৩ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
অথচ শুরুর দিকে ম্যাচের চিত্র ছিল পুরোই উল্টো। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ৫ বলে ১২ রান করে ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ভেল্লাগের হাতে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরত যান তিনি।
ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারও উইকেটের দেখা পান তাইজুল। এবার সরাসরি বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান ইমরানউজ্জানকে (৮ বলে ৪ রান)। মাত্র ২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম।
সাগরপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিপদে ঢাল হয়ে দাঁড়ান আরেক ওপেনার অভিষ্কা। তৃতীয় উইকেটে এবারের বিপিএলে চমক শাহাদাত হোসেন দীপুকে নিয়ে গড়েন ৭০ রানের জুটি। এর মধ্যে প্রথম ১০ ওভার শেষে চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ডে ছিল ৭৬ রান।
ahmed shehzad৩০ রানে ব্যাট করা অভিষ্কা ফার্নান্দোর ক্যাচ ছেড়েছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ। এর চড়া মূল্য দিতে হয়েছে বরিশালকে। ছবি: বিসিবির সৌজন্যে
দলীয় ৯১ রানে দীপুকে (২৯ বলে ৩১ রান) বোল্ড আউট করেন ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। আফগান ব্যাটসম্যান নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে আবারও জুটি গড়েন অভিষ্কা। দুজনে মিলে ৩৮ বলে ৬৮ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। ইনিংসের ১৯তম ওভারের প্রথম বলে কামরুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন জাদরান (১৯ বলে ১৮ রান)।
উইকেটের অপরপ্রান্তে ৪৮ বলে ৮৬ রানে ব্যাট করছিলেন অভিষ্কা। লঙ্কান ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি তখন সময়ের ব্যাপার বলে ধরে নেওয়া হচ্ছিলো। কিন্তু উইকেটে নতুন আসা ক্যাম্ফার অভিষ্কাকে আর কোনো সুযোগ না দিয়ে শেষদিকে সব আলো নিজের দিকে টেনে নেন। মাত্র ৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে ফার্নান্দোকে সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। লঙ্কান ব্যাটসম্যানের ৫০ বলে ৯১ রানের ইনিংসি ৫ চার ও ৭ ছক্কায় সাজানো।
বরিশালের বোলারদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন তাইজুল। তিনি ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ২ উইকেট আদায় করেছেন। বাকি দুইটি উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন কামরুল ইসলাম ও ক্যারিয়াহ।