নরসিংদীর রায়পুরায় কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং উদ্যোক্তা শহিদুল ইসলাম। ঘটনার পর টাকা ফেরত চেয়ে সেই অফিসের সামনে জড়ো হচ্ছেন শত শত গ্রাহক। এ ঘটনায় মানসিক চাপ সামলাতে না পেরে এরিয়া সেলস ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পরিবার।
রায়পুরার আলগী বাজারে আট বছর ধরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন সততা এন্টারপ্রাইজের মালিক শহিদুল ইসলাম লিটন। সেই আউটলেটে ফিক্সড ডিপোজিট করেন কয়েকশ গ্রাহক। তাদের দেওয়া হয়েছিল টাকা জমার রশিদও।
তবে রোববার থেকে বন্ধ কার্যালয়টি। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি শহিদুলকে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাংকে জমা না দিয়ে সেই টাকা নিয়ে পালিয়েছেন শহিদুল। অনেকের দাবি, নানা অজুহাতে আঙুলের ছাপ নিয়েও অ্যাকাউন্ট থেকে সরানো হয়েছে অর্থ।
ভুক্তভোগী এক গ্রাহক বলেন, 'এফডিআরে দুইটা চেকে ৪০ লাখ টাকা দিয়েছে। দেওয়ার পর শহিদুল বলছেন তোমার কাগজপত্রগুলো নিয়ে আসো। আমরা তোমার জানুয়ারির ২৭ তারিখে টাকা দিয়ে দিব। এরপর সব কাগজপত্র জমা নেওয়ার পর আর কোন খবর নেই। এখন আমাদের কাছে কোন কাগজপত্র নেই।'
আরেকজন ভুক্তভোগী জানান, 'সোমবারে দশ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। অন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলে এনে দেওয়ার কথা বলে তিনি যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ করে ফেলেছে।'
এ ঘটনায় মানসিক চাপে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সেলস ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর কন্যা কানিজ হালেমা। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রায়পুরার ৩০টি এজেন্ট শাখার দায়িত্বে ছিলেন কাইয়ুম।
তবে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি ডাচ বাংলা ব্যাংকের নরসিংদীর ভেলানগর এজেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষ। আর পুলিশ জানিয়েছে, থানায় কোনো অভিযোগ না আসার কথা।
নরসিংদী জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আফসান আল আলম বলেন, 'এ বিষয়ে থানায় এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ এলে অবশ্যই পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। অভিযোগ এলে এ বিষয়ে আইনগত সব ধরণের সহযোগিতা ও প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এদিকে শতাধিক গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পলাতক শহিদুলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
রায়পুরার আলগী বাজারে আট বছর ধরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন সততা এন্টারপ্রাইজের মালিক শহিদুল ইসলাম লিটন। সেই আউটলেটে ফিক্সড ডিপোজিট করেন কয়েকশ গ্রাহক। তাদের দেওয়া হয়েছিল টাকা জমার রশিদও।
তবে রোববার থেকে বন্ধ কার্যালয়টি। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি শহিদুলকে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাংকে জমা না দিয়ে সেই টাকা নিয়ে পালিয়েছেন শহিদুল। অনেকের দাবি, নানা অজুহাতে আঙুলের ছাপ নিয়েও অ্যাকাউন্ট থেকে সরানো হয়েছে অর্থ।
ভুক্তভোগী এক গ্রাহক বলেন, 'এফডিআরে দুইটা চেকে ৪০ লাখ টাকা দিয়েছে। দেওয়ার পর শহিদুল বলছেন তোমার কাগজপত্রগুলো নিয়ে আসো। আমরা তোমার জানুয়ারির ২৭ তারিখে টাকা দিয়ে দিব। এরপর সব কাগজপত্র জমা নেওয়ার পর আর কোন খবর নেই। এখন আমাদের কাছে কোন কাগজপত্র নেই।'
আরেকজন ভুক্তভোগী জানান, 'সোমবারে দশ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। অন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলে এনে দেওয়ার কথা বলে তিনি যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ করে ফেলেছে।'
এ ঘটনায় মানসিক চাপে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সেলস ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর কন্যা কানিজ হালেমা। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রায়পুরার ৩০টি এজেন্ট শাখার দায়িত্বে ছিলেন কাইয়ুম।
তবে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি ডাচ বাংলা ব্যাংকের নরসিংদীর ভেলানগর এজেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষ। আর পুলিশ জানিয়েছে, থানায় কোনো অভিযোগ না আসার কথা।
নরসিংদী জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আফসান আল আলম বলেন, 'এ বিষয়ে থানায় এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ এলে অবশ্যই পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। অভিযোগ এলে এ বিষয়ে আইনগত সব ধরণের সহযোগিতা ও প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এদিকে শতাধিক গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পলাতক শহিদুলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।