বর্তমানে সংসদে ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ সংসদ সদস্য রয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা দাবি করেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পূর্বের নির্ধারিত ফলাফলের ভোটরঙ্গ ও ভোট গণনা শেষ না হতেই ডামি এমপিদের নামে গ্যাজেট, শপথ গ্রহণ, মন্ত্রিপরিষদের নাম ঘোষণা ও মন্ত্রীদের শপথ চার দিনেই অভাবনীয় দ্রুততার বিশ্বরেকর্ড করে বিপদমুক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা।
ভীতি ও ত্রাসে তাড়াহুড়া করে ক্ষমতা নবায়ন করার অবৈধ শপথ নিতে গিয়ে আইন-কানুন ও সংবিধানের কবর রচনা করা হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এমনিতেই সংবিধানকে কাটা-ছেঁড়া করে শেখ হাসিনা ভোগবিলাসী ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন।
রিজভী বলেন, 'নিশিরাতের সংসদের মেয়াদ আছে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই সংসদ ভেঙে না দিয়েই শেখ হাসিনার নির্দেশে অবৈধভাবে শপথ নিয়েছে আরেকটি সংসদ। এখন দুই সেট অবৈধ এমপি আছে দেশে। কেউ ডাবল, কেউ বাতিল। মানে এর আগেও ছিলেন, এবারও হয়েছে। আবার কেউ এবার হতে পারেনি কিন্তু তার সংসদ সদস্য পদ এখনও রয়েছে, যা ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে।'
তিনি বলেন, এক প্রধানমন্ত্রী থাকতেই ক্যাবিনেট না ভেঙেই ওয়ান-ইলেভেনের ১৭তম বর্ষপূর্তির দিনে গত ১১ জানুয়ারি আরেকটি মন্ত্রিপরিষদ শপথ নিয়েছে। এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।
আওয়ামী লীগের শাসন বরাবরই অবৈধ ঐতিহ্য বহন করে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানের ৭২ এর ৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি আগে ভেঙে দিয়ে না থাকলে, প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৫ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে। সংবিধানের বিধান মতে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া একাদশ নিশিরাতের ভোট ডাকাতির সংসদের মেয়াদ সমাপ্ত হওয়ার কথা ২৯ জানুয়ারি। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেননি, তার মানে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের যারা সংসদ সদস্য ছিলেন তারা সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন- এই মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৮৯ জন, মোট ৬৪৮ জন শপথপ্রাপ্ত এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারবেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। আগামী ২৯ জানুয়ারি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া অবধি এই অরাজকতা থাকবে।
রিজভী বলেন, এটি একটি চরম সাংবিধানিক লঙ্ঘন। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে এই সময়ের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ বাতিল করে দিতে পারেন উচ্চ আদালত। জনগণের প্রত্যাশা শেষ আশ্রয়স্থল আদালত যুগান্তকারী ভূমিকা নিতে পারে। এই সংবিধান বহির্ভূত যে সরকার গঠন করা হয়েছে, যে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়েছে এবং যেভাবে নির্বাচন হয়েছে এগুলো সব বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ আদালত বাতিল করে দিতে পারে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পূর্বের নির্ধারিত ফলাফলের ভোটরঙ্গ ও ভোট গণনা শেষ না হতেই ডামি এমপিদের নামে গ্যাজেট, শপথ গ্রহণ, মন্ত্রিপরিষদের নাম ঘোষণা ও মন্ত্রীদের শপথ চার দিনেই অভাবনীয় দ্রুততার বিশ্বরেকর্ড করে বিপদমুক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা।
ভীতি ও ত্রাসে তাড়াহুড়া করে ক্ষমতা নবায়ন করার অবৈধ শপথ নিতে গিয়ে আইন-কানুন ও সংবিধানের কবর রচনা করা হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এমনিতেই সংবিধানকে কাটা-ছেঁড়া করে শেখ হাসিনা ভোগবিলাসী ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন।
রিজভী বলেন, 'নিশিরাতের সংসদের মেয়াদ আছে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই সংসদ ভেঙে না দিয়েই শেখ হাসিনার নির্দেশে অবৈধভাবে শপথ নিয়েছে আরেকটি সংসদ। এখন দুই সেট অবৈধ এমপি আছে দেশে। কেউ ডাবল, কেউ বাতিল। মানে এর আগেও ছিলেন, এবারও হয়েছে। আবার কেউ এবার হতে পারেনি কিন্তু তার সংসদ সদস্য পদ এখনও রয়েছে, যা ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে।'
তিনি বলেন, এক প্রধানমন্ত্রী থাকতেই ক্যাবিনেট না ভেঙেই ওয়ান-ইলেভেনের ১৭তম বর্ষপূর্তির দিনে গত ১১ জানুয়ারি আরেকটি মন্ত্রিপরিষদ শপথ নিয়েছে। এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।
আওয়ামী লীগের শাসন বরাবরই অবৈধ ঐতিহ্য বহন করে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানের ৭২ এর ৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি আগে ভেঙে দিয়ে না থাকলে, প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৫ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে। সংবিধানের বিধান মতে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া একাদশ নিশিরাতের ভোট ডাকাতির সংসদের মেয়াদ সমাপ্ত হওয়ার কথা ২৯ জানুয়ারি। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেননি, তার মানে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের যারা সংসদ সদস্য ছিলেন তারা সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন- এই মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৮৯ জন, মোট ৬৪৮ জন শপথপ্রাপ্ত এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারবেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। আগামী ২৯ জানুয়ারি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া অবধি এই অরাজকতা থাকবে।
রিজভী বলেন, এটি একটি চরম সাংবিধানিক লঙ্ঘন। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে এই সময়ের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ বাতিল করে দিতে পারেন উচ্চ আদালত। জনগণের প্রত্যাশা শেষ আশ্রয়স্থল আদালত যুগান্তকারী ভূমিকা নিতে পারে। এই সংবিধান বহির্ভূত যে সরকার গঠন করা হয়েছে, যে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়েছে এবং যেভাবে নির্বাচন হয়েছে এগুলো সব বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ আদালত বাতিল করে দিতে পারে।