ট্যাটু করানোর চল নতুন নয়। তবে, এই প্রজন্মের কাছে ট্যাটু এখন 'স্টাইল স্টেটমেন্ট'। তাই ট্যাটু শিল্পীদের চাহিদাও তুঙ্গে। পাড়ায়, অলিগলিতে অনামি, ছোট পার্লারের রমরমাও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। তেমনই এক অপটু শিল্পীর হাতে ট্যাটু করিয়ে মৃত্যু হলো ৩২ বছরের এক যুবকের। ঘটনা ইংল্যান্ডের।
একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দুই সন্তানের বাবা, বেন ল্যারি উঠতি এক শিল্পীর কাছ থেকে ট্যাটু করান। ট্যাটু করানোর কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই শরীরে ওই অংশে 'র্যাশ' বেরোতে শুরু করে। শরীরেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সেই লক্ষণগুলি সাধারণ বলে খুব একটা গুরুত্ব দেননি বেন। চিকিৎসকের কাছে যেতেও বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে গোটা শরীরে ছেয়ে যায় সেপসিসে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাধারণত অসুরক্ষিত সুচ থেকেই সেপসিস-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ক্রমে তা দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বিকল করতে শুরু করে। বেনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। শুধু ট্যাটু নয়, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জে যে সুচ ব্যবহার হয়, তা থেকেও কিন্তু সেপসিস হতে পারে।
সেপসিসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না বুঝবেন কী করে?
১) ট্যাটু করানোর পর সারা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করতে পারে।
২) কয়েক ঘণ্টা পর যদি মূত্রত্যাগ করতে সমস্যা হয়, সতর্ক হতে হবে।
৩) হঠাৎ হৃদ্স্পন্দনের হার মাত্রাছাড়া হয়ে যেতে পারে।
৪) ট্যাটু করানোর পর রক্তের চাপ অস্বাভাবিক হারে কমে যেতে পারে।
৫) ব্যথার চোটে কারও কারও কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও আসে।
ট্যাটু করালেই যে সেপসিসে আক্রান্ত হবেন এমনটা কিন্তু নয়, তবে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে?
১) ট্যাটু করানোর আগে ওই ট্যাটুশিল্পীর সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে নিন।
২) যন্ত্রপাতির পাশাপাশি যে সালোঁ বা পার্লারে ট্যাটু করাবেন, সেই জায়গাও জীবাণুমুক্ত হওয়া প্রয়োজন।
৩) পদ্ধতি শুরু করার আগে শিল্পী যেন গ্লাভ্স ব্যবহার করেন। সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
৪) ট্যাটু করার যন্ত্রের মুখে যে সুচ থাকে, তা যেন একেবারে নতুন হয়।
৫) শরীরের যে অংশে ট্যাটু করাবেন, সেই জায়গাটিও জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া আবশ্যিক।
৬) সদ্য ট্যাটু করানোর পর ওই অংশে যেন কোনও ভাবে ধুলোবালি না লাগে। পানি লাগলেও কিন্তু সংক্রমণ হতে পারে।
সূত্র: টাইমস নাউ নিউস
একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দুই সন্তানের বাবা, বেন ল্যারি উঠতি এক শিল্পীর কাছ থেকে ট্যাটু করান। ট্যাটু করানোর কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই শরীরে ওই অংশে 'র্যাশ' বেরোতে শুরু করে। শরীরেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সেই লক্ষণগুলি সাধারণ বলে খুব একটা গুরুত্ব দেননি বেন। চিকিৎসকের কাছে যেতেও বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে গোটা শরীরে ছেয়ে যায় সেপসিসে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাধারণত অসুরক্ষিত সুচ থেকেই সেপসিস-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ক্রমে তা দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বিকল করতে শুরু করে। বেনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। শুধু ট্যাটু নয়, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জে যে সুচ ব্যবহার হয়, তা থেকেও কিন্তু সেপসিস হতে পারে।
সেপসিসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না বুঝবেন কী করে?
১) ট্যাটু করানোর পর সারা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করতে পারে।
২) কয়েক ঘণ্টা পর যদি মূত্রত্যাগ করতে সমস্যা হয়, সতর্ক হতে হবে।
৩) হঠাৎ হৃদ্স্পন্দনের হার মাত্রাছাড়া হয়ে যেতে পারে।
৪) ট্যাটু করানোর পর রক্তের চাপ অস্বাভাবিক হারে কমে যেতে পারে।
৫) ব্যথার চোটে কারও কারও কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও আসে।
ট্যাটু করালেই যে সেপসিসে আক্রান্ত হবেন এমনটা কিন্তু নয়, তবে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে?
১) ট্যাটু করানোর আগে ওই ট্যাটুশিল্পীর সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে নিন।
২) যন্ত্রপাতির পাশাপাশি যে সালোঁ বা পার্লারে ট্যাটু করাবেন, সেই জায়গাও জীবাণুমুক্ত হওয়া প্রয়োজন।
৩) পদ্ধতি শুরু করার আগে শিল্পী যেন গ্লাভ্স ব্যবহার করেন। সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
৪) ট্যাটু করার যন্ত্রের মুখে যে সুচ থাকে, তা যেন একেবারে নতুন হয়।
৫) শরীরের যে অংশে ট্যাটু করাবেন, সেই জায়গাটিও জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া আবশ্যিক।
৬) সদ্য ট্যাটু করানোর পর ওই অংশে যেন কোনও ভাবে ধুলোবালি না লাগে। পানি লাগলেও কিন্তু সংক্রমণ হতে পারে।
সূত্র: টাইমস নাউ নিউস