শীতের সময় শিশুর অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। এ সময় শিশুদের কয়েকটি সাধারণ অসুখের মধ্যে ডায়রিয়া, সর্দি-জ্বর, ভাইরাল জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, কানে সংক্রমণ ও ফ্লু অন্যতম। তাই এ সময় শিশুদের বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন, যাতে শীতের বৈরী আবওহাওয়া শিশুর নাজুক শরীরে কোনো বিরূপ প্রভাব না ফেলে। শীতের সময় ঠান্ডাজনিত সমস্যাগুলো থেকে শিশুকে বিরত রাখতে জেনে নিন কিছু বিষয়।
কোল্ড ডায়রিয়া-
সাধারণত বুকের দুধ পান করার পর বা ছয় মাস বয়সী শিশু থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা কোল্ড ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। ছয় মাসের কম বয়সীদেরও কোল্ড ডায়রিয়া বেশি হতে পারে। তবে বুকের দুধ পান করায় তাদের ডায়রিয়া তেমন বোঝা যায় না। এ সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করলে এ ধরনের ডায়রিয়া ঠেকানো যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিলে পুরোপুরি সেরে যায়।
কারণ : কোল্ড ডায়রিয়ার তেমন সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ না থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে 'এডিনো' ভাইরাসকে দায়ী করা হয়। এ ভাইরাস ঠান্ডা যেমন ঘটায়, আবার ডায়রিয়াও ঘটায়।
প্রতিকার : কোল্ড ডায়রিয়ার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তেমন চিকিৎসার দরকার হয় না। ঘরোয়া যত্ন করলেই সুস্থ থাকা যায়। কোল্ড ডায়রিয়ার চিকিৎসা খুবই সাধারণ এবং মুখে খাওয়ার স্যালাইন ও জিংক খাওয়াতে হবে। ডায়রিয়া সেরে যেতে সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।
প্রতিরোধে করণীয় : যেহেতু ঠান্ডার কারণে কোল্ড ডায়রিয়া হয়, সেহেতু যেকোনোভাবেই হোক শীতের সময় শিশুকে ঠান্ডা বা শীতের অতিরিক্ত প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে হবে। সব সময় পর্যাপ্ত গরম পোশাকে শিশুকে ঢেকে রাখতে হবে। আবার এটাও খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশু ঘেমে না যায়। স্যাঁতসেঁতে ঘরে বা ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করা যাবে না। শীতের সময় শিশুর গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। প্রতিদিন গোসল করানোর দরকার নেই। সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর দেখা দিলেই সতর্ক হতে হবে। এ সময় নাকে-মুখে রুমাল ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে নেবুলাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। শিশুর খাবার পানি ফুটিয়ে পান করাতে হবে।
হাসপাতালে কখন নেবেন : কিছু ক্ষেত্রে শিশুকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। নয়তো ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। খুব বেশি পানির মতো পাতলা পায়খানা অনবরত হতে থাকলে শরীর অতিরিক্ত পানিশূন্য হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে বা একেবারেই প্রস্রাব না হলে। মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে গেলে। স্যালাইন বা অন্য কোনো খাবার একেবারে খেতে না পারলে। খুব বেশি বমি করলে, এমনকি স্যালাইন খেয়েও বমি হলে বা অবস্থা বেশি খারাপ মনে হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
জ্বর-ঠান্ডা-
শীতের শুরুতে বাচ্চাদের ঠান্ডা লেগে যায় খুব সহজেই। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই এই ধরনের অসুবিধার শুরু হয়। প্রাপ্তবয়স্কদেরই নানা ধরনের অসুখের মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে বাচ্চাদের ইমিউনিটি এমনিতেই অনেকটা কম থাকে আর সেই কারণেই খুব তাড়াতাড়ি তারা জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি কাশিতে ভুগতে পারে। আর এই সর্দি কাশি থেকে শিশুদের রক্ষা করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললেই হবে।
ঠান্ডা ও জ্বর : যদি শিশুর শরীরে ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, কান চুলকানো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দ্রত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। এ ছাড়াও রাতে ঘুমোনোর সময় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, শরীর ব্যথা ও খেতে না পারা নিউমোনিয়ার লক্ষণ। শিশু যেনো পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশু যেন সঠিক মাত্রায় মায়ের দুধ পায় সে দিকেও লক্ষ্য রাখুন। মায়ের দুধ শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। তাই মায়ের উচিত প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও ভিটামিন সি খাওয়া।
ফ্লু : হঠাৎ জ্বর, ক্লান্তি, নাক বন্ধ, শুকনো কাশি ও বমির উপসর্গ দেখা দিলে বার বার শিশুকে খাওয়ান। ঘরে পর্যাপ্ত আলো চলাচলের ব্যবস্থা করুন। একদিন পর পর ঈষৎ গরম পানিতে শিশুকে গোসল করান। গোসলের সময় যেন সকাল ও দুপুরের মাঝামাঝি হয়। সময়মতো ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সাবধানতা : শীতে প্রায় সবারই ঠান্ডা-কাশি লেগে থাকে। ফলে আমাদের হাতে জীবাণু থাকে। তাই সবসময় হাত পরিষ্কার রাখুন। হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করুন। শিশুর হাতও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন শিশু যেন হাত মুখে না দেয়। এ ছাড়াও-
কোল্ড ডায়রিয়া-
সাধারণত বুকের দুধ পান করার পর বা ছয় মাস বয়সী শিশু থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা কোল্ড ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। ছয় মাসের কম বয়সীদেরও কোল্ড ডায়রিয়া বেশি হতে পারে। তবে বুকের দুধ পান করায় তাদের ডায়রিয়া তেমন বোঝা যায় না। এ সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করলে এ ধরনের ডায়রিয়া ঠেকানো যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিলে পুরোপুরি সেরে যায়।
কারণ : কোল্ড ডায়রিয়ার তেমন সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ না থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে 'এডিনো' ভাইরাসকে দায়ী করা হয়। এ ভাইরাস ঠান্ডা যেমন ঘটায়, আবার ডায়রিয়াও ঘটায়।
প্রতিকার : কোল্ড ডায়রিয়ার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তেমন চিকিৎসার দরকার হয় না। ঘরোয়া যত্ন করলেই সুস্থ থাকা যায়। কোল্ড ডায়রিয়ার চিকিৎসা খুবই সাধারণ এবং মুখে খাওয়ার স্যালাইন ও জিংক খাওয়াতে হবে। ডায়রিয়া সেরে যেতে সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।
প্রতিরোধে করণীয় : যেহেতু ঠান্ডার কারণে কোল্ড ডায়রিয়া হয়, সেহেতু যেকোনোভাবেই হোক শীতের সময় শিশুকে ঠান্ডা বা শীতের অতিরিক্ত প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে হবে। সব সময় পর্যাপ্ত গরম পোশাকে শিশুকে ঢেকে রাখতে হবে। আবার এটাও খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশু ঘেমে না যায়। স্যাঁতসেঁতে ঘরে বা ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করা যাবে না। শীতের সময় শিশুর গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। প্রতিদিন গোসল করানোর দরকার নেই। সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর দেখা দিলেই সতর্ক হতে হবে। এ সময় নাকে-মুখে রুমাল ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে নেবুলাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। শিশুর খাবার পানি ফুটিয়ে পান করাতে হবে।
হাসপাতালে কখন নেবেন : কিছু ক্ষেত্রে শিশুকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। নয়তো ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। খুব বেশি পানির মতো পাতলা পায়খানা অনবরত হতে থাকলে শরীর অতিরিক্ত পানিশূন্য হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে বা একেবারেই প্রস্রাব না হলে। মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে গেলে। স্যালাইন বা অন্য কোনো খাবার একেবারে খেতে না পারলে। খুব বেশি বমি করলে, এমনকি স্যালাইন খেয়েও বমি হলে বা অবস্থা বেশি খারাপ মনে হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
জ্বর-ঠান্ডা-
শীতের শুরুতে বাচ্চাদের ঠান্ডা লেগে যায় খুব সহজেই। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই এই ধরনের অসুবিধার শুরু হয়। প্রাপ্তবয়স্কদেরই নানা ধরনের অসুখের মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে বাচ্চাদের ইমিউনিটি এমনিতেই অনেকটা কম থাকে আর সেই কারণেই খুব তাড়াতাড়ি তারা জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি কাশিতে ভুগতে পারে। আর এই সর্দি কাশি থেকে শিশুদের রক্ষা করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললেই হবে।
ঠান্ডা ও জ্বর : যদি শিশুর শরীরে ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, কান চুলকানো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দ্রত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। এ ছাড়াও রাতে ঘুমোনোর সময় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, শরীর ব্যথা ও খেতে না পারা নিউমোনিয়ার লক্ষণ। শিশু যেনো পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশু যেন সঠিক মাত্রায় মায়ের দুধ পায় সে দিকেও লক্ষ্য রাখুন। মায়ের দুধ শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। তাই মায়ের উচিত প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও ভিটামিন সি খাওয়া।
ফ্লু : হঠাৎ জ্বর, ক্লান্তি, নাক বন্ধ, শুকনো কাশি ও বমির উপসর্গ দেখা দিলে বার বার শিশুকে খাওয়ান। ঘরে পর্যাপ্ত আলো চলাচলের ব্যবস্থা করুন। একদিন পর পর ঈষৎ গরম পানিতে শিশুকে গোসল করান। গোসলের সময় যেন সকাল ও দুপুরের মাঝামাঝি হয়। সময়মতো ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সাবধানতা : শীতে প্রায় সবারই ঠান্ডা-কাশি লেগে থাকে। ফলে আমাদের হাতে জীবাণু থাকে। তাই সবসময় হাত পরিষ্কার রাখুন। হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করুন। শিশুর হাতও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন শিশু যেন হাত মুখে না দেয়। এ ছাড়াও-