বিয়ে করার পর স্ত্রীর সাথে সহবাস না করলে, তার আচরণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। এটি নির্ভর করে তার ব্যক্তিত্ব, মানসিক অবস্থা, এবং স্বামীর সাথে তার সম্পর্কের উপর।
**সাধারণত, স্ত্রীর আচরণের মধ্যে নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলি লক্ষ্য করা যেতে পারে:**
শারীরিক পরিবর্তন:
* শরীরে হরমোনাল পরিবর্তন হতে পারে, যার ফলে মানসিক এবং শারীরিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
* যৌনাঙ্গে উত্তেজনা এবং ব্যথা হতে পারে।
মানসিক পরিবর্তন:
* হতাশা, একাকীত্ব, এবং অবসাদ অনুভব করতে পারে।
* স্বামীর প্রতি রাগ, ক্ষোভ, এবং অবিশ্বাস তৈরি হতে পারে।
* নিজের যৌনতা সম্পর্কে অস্বস্তি বা লজ্জাবোধ করতে পারে।
* **আচরণগত পরিবর্তন:**
* স্বামীর সাথে কথা বলা কমিয়ে দিতে পারে।
* স্বামীর সাথে শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে পারে।
* নিজের যত্ন নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।
* অন্য পুরুষদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে পারে।
**বিশেষ করে, প্রেম করে বিয়ে করলে স্ত্রীর আচরণ আরও বেশি পরিবর্তিত হতে পারে। কারণ, এই ধরনের বিয়েতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক ও মানসিক মিলন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সহবাস না হলে, স্ত্রীর মনে হতে পারে যে স্বামী তাকে ভালোবাসে না, বা তার সাথে শারীরিক মিলন করতে চায় না। এতে তার মনে হতাশা, অবসাদ, এবং অবিশ্বাসের অনুভূতি তৈরি হতে পারে।**
**যদি স্ত্রীর আচরণে এই ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, তাহলে স্বামীকে তার স্ত্রীর সাথে খোলাখুলি কথা বলা উচিত। স্ত্রীর আচরণের কারণ কী তা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। এবং, সমস্যার সমাধানের জন্য উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা করা উচিত।**
**নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করে স্বামী-স্ত্রী সহবাসের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারে:**
* **একজন দক্ষ কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া।**
* **যৌনতা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা।**
* **সাধারণ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা।**
* **স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যোগাযোগ ও বিশ্বাস বৃদ্ধি করা।**
**সহবাস একটি স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর শারীরিক ও মানসিক চাহিদা। বিয়ে করার পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সহবাসের মাধ্যমে তারা শারীরিক ও মানসিক মিলন লাভ করতে পারে। এটি তাদের সম্পর্কের দৃঢ়তা এবং সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।**