ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে ভবন থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে কুমিল্লায় ২০ পোশাককর্মী আহত হয়েছেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় অবস্থিত আমির শার্ট গার্মেন্ট কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে শ্রমিকরা আহত হয়েছে। বর্তমানে তারা সবাই শংকামুক্ত।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা জানান, আমরা অন্তত ১৫ জনকে আহত অবস্থায় গার্মেন্টস থেকে হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। হাসপাতালে কতজন চিকিৎসা নিয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত নই।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কমিউনিটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোলায়মান বাদশা জানান, আমাদের কাছে এ পর্যন্ত ৭৫ জন চিকিৎসা নিয়েছে। আমরা চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছি। এছাড়া যারা এসেছেন তাদের গুরুতর কোনো জখম নেই।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে আহত হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ জন চিকিৎসা নিয়েছে। তবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মোট ১২ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে আমির শার্ট গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন জানান, ভূমিকম্পের সময় আমাদের বেশিরভাগ শ্রমিক নিরাপদে নেমে যান। আচমকা ভিড় থেকে একজন বলে ওঠেন ভবনে ফাটল। এসময় ভয়ে নারী শ্রমিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি বেড়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন। আমরা নিজেদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেককে চিকিৎসা করাই। পরে প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বুলেন্সে করে অনেককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। আর ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।
এর আগে সবশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইল সদরে ও ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে। ৪ দশমিক ২ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে শ্রমিকরা আহত হয়েছে। বর্তমানে তারা সবাই শংকামুক্ত।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা জানান, আমরা অন্তত ১৫ জনকে আহত অবস্থায় গার্মেন্টস থেকে হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। হাসপাতালে কতজন চিকিৎসা নিয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত নই।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কমিউনিটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোলায়মান বাদশা জানান, আমাদের কাছে এ পর্যন্ত ৭৫ জন চিকিৎসা নিয়েছে। আমরা চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছি। এছাড়া যারা এসেছেন তাদের গুরুতর কোনো জখম নেই।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে আহত হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ জন চিকিৎসা নিয়েছে। তবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মোট ১২ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে আমির শার্ট গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন জানান, ভূমিকম্পের সময় আমাদের বেশিরভাগ শ্রমিক নিরাপদে নেমে যান। আচমকা ভিড় থেকে একজন বলে ওঠেন ভবনে ফাটল। এসময় ভয়ে নারী শ্রমিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি বেড়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন। আমরা নিজেদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেককে চিকিৎসা করাই। পরে প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বুলেন্সে করে অনেককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। আর ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।
এর আগে সবশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইল সদরে ও ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে। ৪ দশমিক ২ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।