বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের কাছে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়ে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার।
এসময় তিনি বলেন, বিএনপি আমাকে প্রয়োজন মনে করে নাই। অনেক লাঞ্ছিত, বঞ্চিত করে দল থেকে বিতাড়িত করেছে। আজ আমি একটি দলের মহাসচিব হিসেবে জাতির জন্য কথা বলতে পারছি।
তিনি বলেন, বিএনপির সবািই জ্বালাও-পোড়াও করেনা। তবে গণহারে গ্রেপ্তার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি বাঁধা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কমিটমেন্ট করেছেন এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আর যদি কমিটমেন্ট রক্ষা করতে না পারেন তাহলে যে সঙ্কট তৈরি হবে তার জন্য তিনি দায়ি থাকবেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। পরে আট নভেম্বর সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দেয় দলটি।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে, সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন তৈমূর। দলের প্রতীক নির্ধারণ করা হয় সোনালী আঁশ।
এসময় তিনি বলেন, বিএনপি বারবার ভুল করেছে সেই ভুলের খেসারত দিচ্ছে কর্মীরা। বিএনপি স্থানীয় নির্বাচন গুলোতে অংশ নিলে মাঠে দল শক্তিশালী হতো।
তৈমূর আলম খন্দকার ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে সক্রিয় ছিলেন। এ জন্য মামলা-হামলার শিকার, এমনকি জেলেও থাকতে হয়েছে তাকে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার কারণে দেড় বছর আগে দল থেকে বহিষ্কার হন তৈমূর।
এরপরেও তিনি বিএনপির কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য লিখিত আবেদনও করেন। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি তার সাবেক দল।
২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর তৃণমূল বিএনপি' গঠন করেন নাজমুল হুদা। ২০১৫ সালে শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর ২০১৮ সালে বিকল্পধারায় যোগ দেন। এর পর শমসের মবিন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। মূলত বিএনপি থেকে আসা নেতারাই রয়েছেন তৃণমূল বিএনপিতে।
মোট ২৭ সদস্যের দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা হুদা নির্বাচিত হয়েছেন এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন হিসেবে।