মেয়েদের কোন জায়গাটিতে স্পর্শ করলেই তাঁরা উত্তেজনায় পাগল হয়ে যায় এবং নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে জানেন? - সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, শনিবার নারীরা বিছানায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি নারীর উপর একটি সমীক্ষা চালিয়ে হেলথ এন্ড বিউটি রিটেইলার 'সুপারড্রাগ' এই তথ্যটি পেশ করেছে বলে জানা গেছে। এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, বেশিরভাগ নারীই সপ্তাহে অন্তত যে কোনও একটি রাতে নিজের যৌন চেতনায় মত্ত হয়ে ওঠে, এবং নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
সেই রাতটি হলো শনিবার রাত। এই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে, নিজেদের এই আকর্ষণ আরও বাড়ানোর জন্য নারীরা নাকি একাধিক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাঁরা গরম জলে স্নান করতে বেশি পছন্দ করেন, এবং এই পছন্দের তালিকায় একদম প্রথমেই রয়েছে বডি স্প্রে'র ব্যবহার। তবে তাঁদের চুলের স্টাইল এবং মুখের হাসির প্রতিও তারা যথেষ্ট রকম ওয়াকিবহল। মেয়েদের শরীরে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে স্পর্শ করলে এই রাতে মেয়েরা অনেক বেশি 'টার্ন অন" হয়ে যায়। কিন্তু ছেলেরা কখনোই সেইসব অংশের দিকে নজর দেয় না। তাঁদের ফোরপ্লে শুধুমাত্র ব্রেস্ট, নিপলস আর কিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তারপরেই তাঁরা ইন্টারকোর্সের পর্যায়ে চলে যায়। ব্যাপারটা যেন অনেকটা একঘেয়ে টাইপের হয়ে যায়। কিন্তু কিছু কিছু এমন জায়গা আছে যেখানে জায়গায় স্পর্শ করে, ভালবেসে, মেয়ে রীতিমত পাগল করে দেওয়া যায়।
মেয়েদের শরীরে এমন অনেক অংশ আছে যা অত্যন্ত সংবেদনশীল। যে জায়গায় স্পর্শ করলে যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায়। শরীরের এই জায়গায় স্পর্শ করলে বিছানায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন মেয়েরা। হাতের পাতা - হাতের পাতা ও আঙ্গুলে স্পর্শ করলে মেয়েরা তীব্র উত্তেজিত হয়ে পড়ে।এ ছাড়া ও
১. ঘাড়ের পিছন দিকে :-
মেয়েদের শরীরের একমাত্র এই জায়গাটাই হল সবচেয়ে সেক্সুয়ালি টার্নিং অন এরিয়া। ছেলেরা কিন্তু অনেকসময় এই অংশটা এড়িয়ে যায়। কিন্তু শুধু এখানে স্পর্শ করেও একজন মহিলাকে দ্রুত উত্তেজিত করে দেওয়া সম্ভব। একজন মেয়ে যখন সামান্য পরিমাণ হলেও টার্ন অন থাকে তখন তার পিছন দিকের চুল আস্তে করে সরিয়ে ঘাড়ে একবার হাত বোলান এবং আস্তে আস্তে কিস করুন। দেখবেন আপনার সঙ্গিনী রীতিমত পাগলের মতো করবে। তারপর সামান্য লিক করুন,এবং সুড়সুড়ি দিন। দেখতে পাবেন আপনার সঙ্গিনী যথেষ্ট রকম উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন।
২. কান:
যদি কানে হালকা স্পর্শ, চুম্বন করতে পারেন, সেটাও কিন্তু মেয়েদের অনেক বেশি সেক্সুয়ালি অ্যাট্রাক্টেড করে। যদি তাঁর কানের উপর আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন, দেখবেন আপনার সঙ্গিনী রীতিমত পাগলের মতো করবে, আপনিও তাঁর কানের লতিতে হালকা কামড় দিতে পারেন।তাঁর কানের চারপাশে যে কোনও জায়গায় আপনি যদি চান তাহলে লিক করতে পারেন, কিন্তু সবসময় মনে রাখবেন যে, কানের ছিদ্রে কিন্তু কখনোই নয়, এটি কিন্তু মেয়েদের রীতিমত টার্ন অফ করে দেয়।
৩. উরু বা থাই:
যদি কখনও মেয়েদের দ্রুত উত্তেজিত করতে যচান, তাহলে এই তিন নম্বরটির পয়েন্টটির জুড়ি মেলা ভার। সঙ্গিনীর উরুর সফট স্পটে স্পর্শ করে দেখুন, সে কি করে!
৪. হাতের তালু ও পায়ের পাতা:
হাত দিয়ে প্রতি মুহূর্ত স্পর্শ করছেন ঠিকই , কিন্তু জানেন কি তার হাতেই লুকিয়ে আছে অসংখ্য সেক্সুয়াল ফিলিংস। সঙ্গিনীর হাতের উপর নিজের হাতের আঙুলগুলি আলতো করে বোলাতে থাকুন, সুড়সুড়ি দিন। এটিই তাঁকে পরবর্তী সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটিরই মেসেজ দিয়ে দেবে । দেখবেন সেও আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছে। এই পদ্ধতি টার্ন অন করে দেবে আপনার সঙ্গিনীকে।
৫. পিঠ:
পিঠ, বিশেষ করে পিঠের নিচ দিকে, এবং কোমরের দিকের অংশটাতে মেয়েরা সবসময় আরামের স্পর্শ ও আদর চায়। এক কাজ করুন আপনার সঙ্গিনীর মেরুদন্ডের মাঝ বরাবর চুমু খেতে খেতে নিচের দিকে নেমে যান। দেখবেন তাঁর সেক্স করার মুড আরও বেড়েছে। সঙ্গিনীর প্রতি একটু বেশি যত্নশীল হন। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে 'সুপারড্রাগ - এর সারা বোলওয়ারসন বলেছেন যে, 'আমরা একটি ভোটের ব্যবস্থা করেছিলাম, সেই ভোটের ফলের ভিত্তিতেই আমরা এই সমীক্ষাটি চালিয়েছি। তাতে দেখা গিয়েছে, নিজেদেরকে আরও কিভাবে আকর্ষণীয় দেখাতে কী কী করতে হবে, সেটা কিন্তু নারীরাই সবথেকে ভালো বোঝেন। কিন্তু সাধারণত নারীরা সবসময় সে সব করেন না। সপ্তাহে যে কোনো একটি বিশেষ দিনে তাঁরা এইসব পদ্ধতি অবলম্বন করেন । এবং সেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শনিবারই হয় ।