
দীর্ঘদিন থেকে আদরের ছোট বোনকে একই এলাকার দুই বখাটে রনি মহন্ত ও জাহিদ হাসান উত্ত্যক্ত করার পাশাপাশি কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। যে কারণে বড় ভাই মোস্তাক হোসেন তাদের শাসিয়েছিলেন। আর এতেই কলেজশিক্ষার্থী আয়েশাকে ধর্ষণ করতে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন গ্রেফতার দুই যুবক।
রোববার (৮ মে) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামে বসবাসরত শংকর মহন্তের ছেলে রনি মহন্ত (৩০) ও আয়মা পাড়ার খোরশেদ মন্ডলের ছেলে জাহিদ হাসান দীর্ঘদিন থেকে কলেজশিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকাকে (১৯) উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৬ মে) রাতে বাড়ির প্রাচীর টপকে তারা আয়েশার রুমে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার দিলে মুখে কাপড় গুঁজে দেয় তারা। একসময় সম্ভ্রম রক্ষা করতে আয়েশা রনির বুকে খামচে দিলে তারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পুলিশের কাছে তারা প্রাথমিকভাবে ধর্ষণে বাধা পেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করলেও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা।
এদিকে আয়েশা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জয়পুরহাট সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে গ্রেফতার ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।
সূত্র- সময় টিভি
ডেস্ক রিপোর্ট/ জান্নাত