আব্দুল কুদ্দুস, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে এবার দেখা মিলেছে ৪৬ প্রজাতির পাখি। দু’দিন ব্যাপী (২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি)
জলচর পাখি শুমারি শেষে এ তথ্য জানান দেশের খ্যাতিমান পাখি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা
ইনাম আল হক। দেশের সর্ববৃহৎ পাখির সমাগমস্থ হিসেবে পরিচিত হাকালুকি হাওরে অন্যান্য বছরের তুলনায় পাখি কম
বলে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত জলচর পাখি শুমারিতে ৪৬ প্রজাতির পাখি গণণা করা হয় ২৪ হাজার ৫৫১। সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৩৮৯টি পাখি দেখা গেছে হাওরখাল বিলে। ১৪ প্রজাতির ৬ হাজার ৪৭২টি হাঁস দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি ছিলো পিয়ং হাঁস ২০১২টি। শামুকখোল ৭ হাজার ৯১৬টি। আইইউসিএন, পিও জেএফ ও বিবিসি’র যৌথ উদ্যোগে হাকালুকি হাওরের ছোটবড় ২৩৯টি বিলের মধ্যে ৪৩টি বিলে পাখি শুমারি পরিচালিত হয়।
ইনাম আল হক আরো জানান, হাকালুকি হাওরে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় অতিথি পাখির সংখ্যা কম। বিপন্ন প্রজাতির কোন পাখি এবার পাওয়া যায়নি। তাছাড়া বিষটোপে পাখি নিধনের লক্ষণ চোখে পড়েনি।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালে হাকালুকি হাওরে পাখির সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ২শ’ ৮১। ২০১৮ সালে তা কমে এসে দাঁড়ায় ৪৫ হাজার ১০০-তে। ২০১৯ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৯শ’ ৩১। ২০২০ সালের শুমারিতে হাওরে ৫৩ প্রজাতির ৪০ হাজার ১শ’ ২৬টি পাখির দেখা মেলে।