মনিরুজ্জামান মনির, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে আনোয়ার হোসেন বুলু (৩৮) নামের এক যুবককে তার সহযোগীরা মদ্যপ অবস্থায় ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত বুলু নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার আমরুল গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
শনিবার (২ জানুয়ারি) গভীর রাতে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে তেঘরী নামক স্থানে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় আরিফুল ও ইসলাম হোসেনকে আটক করে নন্দীগ্রাম থানায় সোপর্দ করেছে নিহতের পরিবার।
জানাগেছে, বুলু ও তার ৭ জন বন্ধু শনিবার রাতে মাইক্রোবাস যোগে আত্রাই থেকে বগুড়া শহরে হোটেল নাজ গার্ডেনে আসেন। সেখানে সবাই মিলে মদ্যপান করে মাইক্রোবাস যোগে বগুড়া-নাটোর সড়ক হয়ে আত্রাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এমতাবস্থায় চলন্ত মাইক্রোবাসের তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় বুলু মাইক্রোবাস থামিয়ে সড়কে নেমে তাদেরকে শান্ত করার
চেষ্টা করে। তখন তার সহযোগীরা বুলুকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত ট্রাকের নিচে ফেলে দেয়। এতে ট্রাকচাপায় বুলু ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে তার সহযোগীরা বুলুর মরদেহ মাইক্রোবাসে তুলে আত্রাই নিয়ে যান। সেখানে পাঁচ জন নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান এবং অরিফুল ও ইসলাম হোসেন বুলুর মরদেহ তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে যায়। এসময় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের দুজনকে আটক করে। এরপর রবিবার (৩ জানুয়ারি) সকালে তাদের নন্দীগ্রাম থানায় সোপর্দ করা হয়।
নিহত বুলুর ভাই মাজাহারুল ইসলাম বলেন, বুলু তাদের নিজস্ব মাইক্রোবাস চালাচ্ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে ইক্রোবাস ক্ষতিগ্রস্থ হতো। তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবার যাদেরকে থানায় সোপর্দ করেছে তাদেরকে মামলায় সাক্ষী করা হবে।