৩৫ মণ ওজনের বাহাদুর। লম্বায় ৮ ফুট। প্রতিদিন তার খাবার খরচ এক হাজার টাকা। লালনপালনকারী নাটোরের কলেজশিক্ষক মাহমুদুর রহমান মুক্তা ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।
ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় চার বছরের বাহাদুর। ওজন এখনই ৩৫ মণ। উন্নত মানের খাবারের পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টাই তাদের ফ্যানের বাতাসে রাখতে হয়। প্রতিদিন দু-তিনবার গোসলে ব্যবহার করা হয় সাবান ও শ্যাম্পু।
এ বিষয়ে রাখাল জানান, গরুকে ২৪ ঘণ্টাই ফ্যানের নিচে রাখা হয়। এখানে জেনারেটরের সুব্যবস্থা রয়েছে।
বাহাদুরকে প্রতিদিন ১০ কেজি গমের ভুসি, ভুট্টা, খেসারি ও মটর ডাল, ৫ কেজি বুটের গুঁড়ার মিশ্রণ, ২০ কেজি ঘাস ও ৫ কেজি ধানের খড় খাওয়ানো হয়। প্রতিদিনের খাবারের পেছনে খরচ হয় অন্তত এক হাজার টাকা।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল এলাকার কলেজশিক্ষক মাহমুদুর রহমান মুক্তা। শিক্ষকতার পাশাপাশি শখের বসে গরু পালন করেন তিনি। তার দাবি, চার বছরে বাহাদুরকে পালন করতে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কোরবানির জন্য ষাঁড়টি বিক্রি করতে চান খরচের দামেই।
তিনি বলেন, ‘খাবারে প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে খরচ হয়। বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা খাবারেই ব্যয় হয়। আমি যদি গরুটিকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারি, তাহলে আমার ব্যয় উঠবে।’
স্থানীয়ভাবে বাহাদুরের দাম উঠেছে ১০ লাখ টাকা। গরুর ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কায় বেশি দাম দিয়ে কিনে ঝুঁকি নিতে চান না।
এ অবস্থায় ন্যায্যদামে বিক্রির জন্য জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগ চেষ্টা চালাচ্ছে। নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তাফা বলেন, ‘এ ধরনের যেসব বড় গরু রয়েছে, সেগুলো ঈদের আগেই আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে বিক্রির বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’
বাহাদুরের বুকের বেড় ৯৯ ইঞ্চি আর লম্বা ৯৬ ইঞ্চি। চলতি বছর বাহাদুর বিক্রি না হলে খামারি মুক্তাকে আগামী বছরের জন্য অতিরিক্ত আরও অন্তত সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করতে হবে।
সূত্র- সময় টিভি
ডেস্ক রিপোর্ট/ জান্নাত