রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর ও রামপুরা থেকে নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- কদমতলীর ট্রাক হেলপার মাসুদ (৪৫), কামরাঙ্গীরচরের গৃহবধু ফাহিমা আক্তার বৃষ্টি (২২) ও রামপুরার দিনমজুর মোস্তাক আহমেদ (৩৮)।
এদিকে কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুসরাত জাহান নুপুর সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সকাল ৮টার দিকে কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম মোমিনবাগ ৭ নম্বর গলির হাজী কামালের বাড়ি থেকে বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃষ্টির ফুফাতো ভাই আব্দুস সালাম জনি জানান, চার বছর আগে স্কুল শিক্ষক রাজু আহমেদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয় বৃষ্টির। পাঁচ মাস বয়সী একটি মেয়ে আছে তাদের। পারিবারিক বিভিন্ন কারণে একমাস আগে সে রাগ করে বাবার বাড়ি চলে আসে। এরপর তার স্বামী আবার তাকে বুঝিয়ে বাসায় নিয়ে যান। সোমবার দিবাগত রাতে স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয়টি নিয়ে আবার ঝগড়া হয় তার। এক পর্যায়ে স্বামী-সন্তান ঘুমিয়ে পড়লে রাত দুইটা থেকে চারটার মধ্যে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে।
মধ্য রাতে স্বামীর ঘুম ভাঙলে বৃষ্টিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় বলে তাদের কাছে দাবি করেছেন স্বামী। ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে নিচে নামিয়ে পরে স্বজনদের খবর দেয় সে। এ মৃত্যুর বিষয় স্বজনরা সন্দেহপোষন করেছে।
এদিকে, রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হক জিহান জানান, সকাল ১১ টার দিকে রামপুরা তালতলা মেম্বারের গলির ২৮৮/বি নম্বর টিনসেড বাসা থেকে মোস্তাক আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দিনমজুরের কাজ করতো সে। তবে দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত ছিল। এছাড়া মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলো সে। বাড়িতে সে এবং তার পাশের বাড়িতে তার মা ও বোন থাকেন। তিন বছর আগে বিয়ে করলেও তার অসুস্থতার কারণে তার বউ তাকে ছেড়ে চলে যায়। সোমবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সিদ্দিক মোল্লার ছেলে সে।
সূত্র- সময় টিভি
ডেস্ক রিপোর্ট/ জান্নাত