আমাদের পাঁচ বছরের মেয়েকে যখন কিন্ডারগার্ডেন থেকে আনতে গিয়েছিলাম তখন স্কুল এর প্রধান শিক্ষক হাত নাড়া দিয়ে আমাকে থামালো। আমার মেয়ের অঙ্কন ক্লাস এর আঁকা একটি ছবি আমার হাতে নীরবে দিলেন। তার মুখের ভঙ্গি ছিল বিস্ময়কর, সহানুভুতি ও রাগের সমন্বিত রূপ।
ঐদিন সন্ধ্যায় আমি ও আমার স্ত্রী চিত্রটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করেছিলাম এবং কি করবো তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। যখন আমার মেয়ে তার মায়ের কোলে রান্না ঘরে বসেছিল তখন আমার মেয়ের সাথে নিন্মোক্ত কথা হয়েছিলো।
আমিঃ চিত্রটি টেবিল এর উপর রেখে ঃ হ্যলো মামুনি, তুমি যে এই চিত্রটি আজ অঙ্কন ক্লাস এ তৈরি করেছো সে সম্পর্কে কিছু আমাদের জানাও।
মেয়েঃ ওঃ আমি এটা অনেক ভালোবাসি ! তুমি কি এটা পছন্দ কর বাবা?
আমিঃ হ্যাঁ মামুনি ! তুমি কি এটা সম্বন্ধে আমাকে বলতে পারবে?
মেয়েঃ আমি এটা এঁকেছি আমাদের অঙ্কন ক্লাস এ।
আমিঃ খুবই ভালো, তুমি কি অঙ্কন করতে চাইতেছিলে?
মেয়েঃ আমাদেরকে বলা হয়েছিলো আমাদের প্রিয় জিনিস অঙ্কন করার জন্য তাই আমি এটা এঁকেছি।
আমার স্ত্রী এর চোখের ব্রু উপড়ে উঠলো। আমারও আমার স্ত্রী এর মতো হলো কিন্তু আমি বিষয়টির আরও গভীরে যেতে চাইলাম এবং বিচক্ষণতার সাথে চিত্রটি পর্যবেক্ষবন করতে লাগলাম।
আমিঃ মামুনি, এটা কোন প্রিয় জিনিস যেটা তুমি আঁকছিলে?
মেয়েঃ বাবা! তুমি জানো! এটা টেবিলে রাখা একটা মাফিন কেক।
স্ত্রীঃ সে অট্ট হাসি শুরু করলো।
আমিঃ অবশ্যই মামুনি, তুমি খুব ভালো এঁকেছ।
আসলে সব জিনিস নেগেটিভ ভাবে চিন্তা না করে ভালো ভাবে পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করা উচিত। আমরা প্রায়ই আমাদের ছোট ছেলেমেয়েদের সাথে খারাপ আচরণ করি। সকল শিশু অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আমাদেরকে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বের করার জন্য তাদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করতে হবে।
ধন্যবাদ লেখেটি পড়ার জন্য। লেখাটি যদি আপানর ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপভোট করবেন, শেয়ার করবেন। আপনাদের মতামত আমার লেখাকে আরও গতিশীল করবে।