বাংলারজমিন২৪.কম ডেস্কঃ
বেশীরভাগ মাদকের কার্যক্ষমতা কম সময় থাকলেও কিছু কিছু মাদক বা এ্যলকোহল জাতীয় নেশাকর পন্য আছে, সময়ের সাথে সাথেও যার রেশ শরীরে থেকে যায়। আর এগুলোই ডোপ টেস্টের মাধ্যেমে ধরা হয়। খেলাধুলায় বা অন্যান্য কাজে আর্টিফিশিয়াল কিছু ব্যবহার করে নিজের শারিরিক শক্তি বাড়িয়ে লাভবান হওয়ার সুযোগ নাই।
অতিরিক্ত পারফরমেন্সের উদ্দেশ্যে মাদক গ্রহণ করার পর যখনই কারো উপর ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গুলোর সন্দেহ হয় বা সন্দেহের অভিযোগ তোলা হয়, তখন তারা তাকে শোকজ করে থাকে। পরবর্তীতে ঐ খেলোয়াড়কে ডোপ টেস্টের সম্মুখীন হতে হয়। যদি ফলাফল নেগিটিভ হয় তাহলে তাকে অর্থদণ্ড, বরখাস্ত বা কারাভোগের শাস্তি দেওয়া হয় ক্রীড়া আইন অনুযায়ী। প্রযুক্তির উন্নতির কারণে অনেক ক্রীড়াবিদই এমন সব নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করেন, যার ফলে ক্রীড়া নৈপুন্যে সাময়িক ভাবে অতিরিক্ত শক্তির যোগান পান তারা ।
মাদক গ্রহণর ফলে দেহের স্বাভাবিক শক্তির চেয়ে অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চারিত হয়, যার ফলে স্বাভাবিক ক্রীড়াবিদরা হেরে যায়। এই নিষিদ্ধ কর্মকান্ড প্রতিহত করার জন্যে প্রতিটা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়, একেই ডোপিং টেষ্ট বলে।
ডোপ টেস্ট সাধারনত অভিযুক্তের রক্ত এবং প্রশ্রাব পরিক্ষা করে পজিটিভ বা নেগেটিভ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে ।
ডোপিং টেষ্টের ফলাফল নেগেটিভ হলে খেলোয়ারকে আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী বিভিন্ন রকম শাস্তি ভোগ করতে হয়। গতবারের শীতকালীন অলিম্পিক সোচি অলিম্পিকে ডোপিং পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার৷ এটি একটি রেকর্ড৷ কারণ এত বিপুল পরিমাণ পরীক্ষা এর আগে কোনো প্রতিযোগিতায় করা হয়নি৷ তবে এ সব পরীক্ষায় নানা সীমাব্ধতা রয়েছে, যার কারণে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহারকারী প্রতিযোগীরা প্রায়ই পার পেয়ে যাচ্ছেন৷
দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত কয়েক বছরে চিকিৎসা শাস্ত্রের উন্নতি হলেও ডোপিং পরীক্ষায় তা প্রয়োগ করা হচ্ছে না৷ সমস্যাটা হলো, যেসব প্রতিযোগী ভীষণ চালাক, তাঁদের একটি দল আছে৷ এই দলটি জানে, কিভাবে স্বল্প পরিমাণে একটি দ্রব্যের সাথে অন্য দ্রব্য মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়, যার ফলে তা পরীক্ষায় ধরা পড়ে না৷