আব্দুল কুদ্দুস, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ
কুলাউড়ার কর্মধার ইউনিয়নের ইছাছড়া পুঞ্জির বাসিন্দা এবং কাটাবাড়ী পানজুমের মালিক জসপার আমলরং দুরারোগ্য ক্যান্সারে
আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার দিবাগত রাত ৯টায় নিজ বাড়ীতে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৫২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় ইছাছড়া জিংকট্যাবে তার শেষকৃর্তানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এসময় বিভিন্ন পুঞ্জির আদিবাসী নেতৃবৃন্দ
উপস্থিত ছিলেন।
শোক প্রকাশ:
কাটাবাড়ী পানজুমের মালিক জসপার আমলরংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন- বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের নারী বিষয়ক সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং, কর্মধা ইউপির সদস্য সিলভেস্টার পাঠাং, মানবাধিকার কর্মী ফাদার যোসেফ গোমেজ ওএমআই, লক্ষ্মীপুর মিশনের পাল পুরোহিত ফাদার ভ্যালেন্টাইন তালাং ওএমআই, ইছাছড়া পুঞ্জির হেডম্যান জেনারেল ধার, কাটাবাড়ী পুঞ্জির হেডম্যান বেনিসন তংপেয়ার, লুতিজুড়ী পুঞ্জির হেডম্যান অকেন পলং, কুকিজুড়ী ও বেলওয়া হেডম্যান হেনরী তালাং, দুলুছড়ার হেডম্যান লবিং, বেলকুমা’র হেডম্যান কলবেট পতঃমি, নার্সারীর হেডম্যান ডিসি পতাম, নোনছড়ার হেডম্যান ববরিন তংপেয়ার, বেগুনছড়ার হেডম্যান লেম্বু, আমুলীর হেডম্যান প্রত্যুষ আসাক্রা, ঝিমাই পুঞ্জির হেডম্যান রানা সুরং ও মেঘাটিলা পুঞ্জির হেডম্যান মনিকা খংলা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জসপার আমলরংয়ের কাটাবাড়ী পানজুমটি কর্মধার টাট্টিউলী গ্রামের মৃত ছত্তার আলীর ছেলে রফিক মিয়া ২০২০
সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতের আঁধারে জোরপূর্বক দখল করেন। এর দেড়মাস পর জুমটি কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার
এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন সময় কুলাউড়া উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়।
ক্যাপশন: পরিবারের সদস্যের সাথে জসপার আমলরংয়ের ছবি।